
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, এ ঘটনায় জড়িত কেউই প্রভাব বা পদমর্যাদার কারণে রেহাই পাবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা কেবল একজন নেতার ওপর আঘাত নয়, বরং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ঐতিহাসিক সংগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা। তাই এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে এবং জড়িত প্রত্যেককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
নুরুল হক নুর ও দলের অন্যান্য আহত নেতাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করবে সরকার।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব, জুলাই অভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা এবং গণতন্ত্রের জন্য তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বানচাল বা বিলম্বিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে এবং জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্তভাবে জয়ী হবে।
মন্তব্য করুন